
সংস্কৃত ভাষায় ধারাভাষ্য, ভোপালে ধুতি পরেই বাইশ গজে নেমে পড়েছেন খেলোয়াড়রা | players-wearing-dhoti-and-mundu-during-cricket-match-in-bhopal-take-netizens-by-surprise | cricket
ধুতি-কুর্তার পাশাপাশি তাঁর গায়ে একখানা শাল রয়েছে। অনেকের কপালে তিলকও ছিল
#ভোপাল: এ যেন সংস্কৃতের বাইশ গজ। কমেন্ট্রি বক্সে বসে রয়েছেন পণ্ডিতরা। টানা সংস্কৃততেই চলছে কমেন্ট্রি। আর মাঠে ধুতি পরে শাল গায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আম্পায়ার মশাই। প্লেয়াররাও কম যান না। ধুতি-কুর্তায় ব্যাট-বল হাতে সমানে খেলে চলেছেন তাঁরা। সম্প্রতি ভোপালের এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নজর কেড়েছে দেশবাসীর।
রবিবার ভোপালের মহাঋষি বৈদিক পরিবারের তরফে আয়োজিত এই ম্যাচে প্লেয়ারদের পোশাক রীতিমতো নজর কেড়েছে। কারণ ট্রাউজার-টি শার্টের জায়গায় সকলে ধুতি পরেছিলেন। সকলেরই টি-শার্টের নিচে রয়েছে ধুতি। এক্ষেত্রে কমলা ও সাদা টি-শার্ট প্লেয়ারদের আলাদা ভাবে চিনতে সাহায্য করেছে। আম্পায়ারের বেশভূষাও দেখার মতো। ধুতি-কুর্তার পাশাপাশি তাঁর গায়ে একখানা শাল রয়েছে। অনেকের কপালে তিলকও ছিল। দেখে মনে হয়- সবাই যেন কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে মাঠে নেমেছেন।
Madhya Pradesh: During a cricket match organised by Maharishi Vedic Parivar, all gamers wore dhoti and mundu and the commentary was achieved in Sanskrit language in Bhopal yesterday. pic.twitter.com/VmXYrvpGtQ
— ANI (@ANI) January 10, 2021
জি নিউজ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহর্ষি মহেশ যোগীর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের অঙ্কুর ময়দানে আয়োজন করা হয়েছিল এই খেলার। এই মহাঋষি কাপ টুর্নামেন্টে প্লেয়ারদেরও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে দেখা যায়। সংস্কৃততেই কথা বলেছেন আম্পায়াররা। মজার বিষয়টি হল, হিন্দি বা ইংরেজি নয়, পুরো খেলার ধারাভাষ্য দেওয়া হয় সংস্কৃত ভাষায়। এক্ষেত্রে কমেন্ট্রি বক্সে ছিলেন দেবেন্দ্র দুবে, অঙ্কুর পাণ্ডে ও ড. রমণ মিশ্র। অনবরত সংস্কৃততেই ম্যাচের বিবরণ দিয়েছেন তাঁরা। দর্শকদের কাছে যা এক অভিনব অভিজ্ঞতা ছিল।
এই বিষয়ে টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির সদস্য পণ্ডিত কপিল শর্মা জানান, টুর্নামেন্টে জয়ী দলকে বেদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। পোস্টার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেদের সাম্মানিক পুরস্কারের পাশাপাশি জয়ীদের ৫,১০০ টাকার ক্যাশ প্রাইজ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ফার্স্ট রানার আপ দল পাবে ২,১০০ টাকার ক্যাশ প্রাইজ। টুর্নামেন্টের এন্ট্রি ফি ছিল ১১০০ টাকা।
আজ তক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংস্কৃত বাঁচাও মঞ্চের এক সদস্য জানিয়েছেন, শহরের মানুষজনকে সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী ভাষা সংস্কৃত সম্পর্কে সচেতন করতেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন আশেপাশের মানুষজনও।
পুরো খবর পড়ুন
You must log in to post a comment.